
সম্প্রীতি রক্ষা করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য রূপসায় আজিজুল বারী হেলাল।
শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ.
স্টাফ রিপোর্টারঃ
খুলনার রূপসায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বিএনপি কখনো ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে না। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু ও মুসলিমরা দীর্ঘদিন ধরে একত্রে বসবাস করছে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল এই সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং তাদের অধিকার রক্ষা করা হবে।

১৮ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ঘাটভোগ ইউনিয়নের নতুনদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহিলা দলের নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন নতুনদিয়া ওয়ার্ড মহিলা দলের সভাপতি নীলিমা মন্ডল। আজিজুল বারী হেলাল নারীদের জন্য বিশেষ সুযোগের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি জানান, দেশের প্রতিটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে পরিবারের মা সুলভ মূল্যে চাল, ডাল, তেল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবেন। কৃষিকাজে যুক্ত পরিবারগুলোর জন্য কৃষি কার্ডের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক বছরের মধ্যে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান এবং রূপসা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গ্রামের মানুষের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে এবং সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টান নির্বিশেষে সকলের সঙ্গে সৌহার্দ্য বজায় রাখাই বিএনপির মূল লক্ষ্য। নারীদের ভোটের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিএনপি চারবার ক্ষমতায় এসেছে নারী ভোটের মাধ্যমে। এবারও সকল নারী ভোটার ধানের শীষ বেছে নেবেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো হিন্দু-মুসলিমরা একত্রে শান্তিতে বসবাস করবে। কেউ যদি এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে, কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
রুপসায় একটি আধুনিক হাসপাতাল করার দাবীও বাস্তবায়ন করা হবে। সভায় জেলা বিএনপির সদস্য শেখ আব্দুর রশিদ, খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান রনু, থানা বিএনপির আহবায়ক মোল্লা সাইফুর রহমান, সদস্য সচিব জাবেদ হোসেন মল্লিক, বিকাশ মিত্র, মহিলা দলের জেলা সিনিয়র সহ- সভাপতি শাহানাজ ইসলাম , ইউনিয়ন সাস কমিটির সদস্য শেখ আব্দুল মালেক ,মিকাইল বিশ্বাস,উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি মর্জিনা বেগম, সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার আঁখি সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




