
বেতাগীতে বিএনপি’র টাকার বিনিময়ে পকেট কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল ও সাংবাদিক সম্মেলন।
বিশেষ প্রতিনিধি:
বরগুনার বেতাগী উপজেলায বিএনপির একটি কথিত টাকার বিনিময় ‘পকেট কমিটি’ বিলুপ্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মো: শাজাহান কবিরের নেতৃত্বে এই মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। বেতাগী উপজেলা ও পৌর বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। তাদের দাবি, দলের আদর্শ ও নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি অবৈধ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেটি গঠনের পেছনে ছিল টাকার লেনদেন ও পদ বাণিজ্য।
বক্তারা জানান, ২০২৩ সালের ১৭ই এপ্রিল বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। কারণ, পদ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর দলীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল এবং নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে। এই তদন্তে উঠে আসে, কমিটিতে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন পদ বিতরণ করা হয়েছে, যা দলের গঠনতন্ত্র ও নৈতিকতা পরিপন্থী। সে সময় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্র থেকে কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এরপরও বেতাগী উপজেলায় বিতর্কিত ওই পকেট কমিটি বহাল থাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই গত ৫ই এপ্রিল, শনিবার বিকালে বেতাগী উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ ও সাংবাদিক সম্মেলন এর আয়োজন করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বেতাগী পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলি প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে শহরের একটি মোড়ে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শাজাহান কবির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “বিএনপি একটি জনতার দল, এখানে টাকার বিনিময়ে পদ বণ্টন দলকে দুর্বল করে এবং সাধারণ মানুষের কাছে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছায়।” তিনি অবিলম্বে পকেট কমিটি বিলুপ্ত করে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তৃণমূল নেতৃত্বকে মূল্যায়নের দাবি জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বেতাগী উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ জলিলুর রহমান খাস নান্নামুন্না,পৌর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লাভলু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান পান্না,জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন বুলেট, যুবদলের নেতা রাশেদ খান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান সোহাগ, বেতাগী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ শোয়েব কবিরপ্রমুখ।
বিক্ষোভে উপস্থিত নেতাকর্মীরা এক কণ্ঠে অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই কমিটি দলের কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি করেছে। তাঁরা অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত করে নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানান। বেতাগীর রাজনীতিতে এই বিক্ষোভ নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং এখন দেখার বিষয়, দলীয় হাইকমান্ড কী সিদ্ধান্ত নেন।
মোঃ হুমায়ুন কবির মল্লিক গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুল, বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম এম এ মান্নান মৃধা, বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন, এদের সহযোগিতায় ব্যাপক টেন্ডারবাজি করেছে বলে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন মহলে।
বেতাগী উপজেলা সূত্রে জানা যায়, হুমায়ুন কবির মল্লিক ১৯৯৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সেই টেন্ডারবাজির সাথে জড়িত। বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র এ বি এম গোলাম কবির ও বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের সঙ্গে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ যৌথভাবে সম্পন্ন করেছে। বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা ছিল তার ব্যবসায়ী পার্টনার।
এই আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী হুমায়ুন মল্লিক শুধু বেতাগী উপজেলাতেই আওয়ামী লীগের সুবিধা নিয়ে ১৫ থেকে ২০ টি সাইক্লোন সেল্টার, একাধিক পাকা সড়ক, বদনিখালি গার্ডার ব্রিজ, চান্দ্খালি মার্কেট ও ১০-১৫ টি আয়রন ব্রিজ এর কাজ করেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতা নিয়ে হুমায়ুন কবির মল্লিক এর ছোট ভাই মো: রেজাউল কবির বাবু বেতাগীর সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুহৃীদ সালেহীন এর সহযোগিতায় শেখ হাসিনা সরকারের আবাসন প্রকল্পের প্রায় ১০০ টি ঘরের কাজ করেছ বিপুল অংশের টাকা হাতিয়ে নেয়। তার আপন চাচাতো ভাই কুদ্দুস মল্লিক বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি, তার ভাগিনা ইকবাল মল্লিক বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন।
হুমায়ুন কবির মল্লিক যখন চরিত্রহীন
বেতাগী উপজেলা সূত্রে আরো জানাযায় হুমায়না মল্লিক ২০০৭ সালে বেতাগী বন্দরে’র ৭ নং ওয়ার্ডের প্রবাসী স্ত্রীর সঙ্গে রাতের বেলায় অনৈতিক কাজ করার সময় এলাকাবাসীর কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য রাতের আঁধারে হাজী রফেজ মিয়ার পুকুরে ঝাঁপ দেয়ে হুমায়ুন কবির মল্লিক। তৎকালীন বেতাগী পৌর বিএনপি’র সভাপতি আজিজুর রহমান তার দুই ভাই ও আশে পাশের লোকজন ওই পুকুরের মধ্যে হুমায়ুন মল্লিককে ধরে ফেলে পরবর্তীতে সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ শাহজাহান কবিরের নেতৃত্বে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সামাজিক ভাবে তার বিচার করা হয়।
জানা গেছে, হুমায়ন কবির মল্লিক ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বেতাগী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মাহবুব হাওলাদারের মেয়ে মারুফা আক্তারকে বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে আসছিল হুমায়ুন মল্লিক। একসময় বিবাহ জন্য মারুফা আক্তার চাপ দিলে তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাতেন।
পরে মারুফ আক্তার উপায় না পেয়ে স্ত্রীর’র অধিকার চেয়ে হুমায়ন মল্লিকের নামে ২০১৫ সালে ঢাকার জজ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২১২/১৫ হুমায়ুন মল্লিকের অবৈধ টাকার কাছে সঠিক বিচার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছে মারুফ আক্তার।
আরো জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মামলা নং ২১২/১৫ তদন্ত প্রতিবেদনেও যার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।
মামলা তদন্ত প্রতিবেকন টি হুবহু তুলে ধরা হলো ,
“বিনীত নিবেদন এই যে, সূত্রে বর্ণিত মামলার আরজীর ছায়ালীপি বিজ্ঞ আদালতের ইং ২৯/০৩/২০১৫ তারিখের আদেশনামা মূলে অফিসার ইনচার্জ সাহেব প্রাপ্ত হইয়া উহায় তদন্তভার আমার উপর অর্পণ করেন। আমি তদন্তভার গ্রহণ করিয়া বাদীনির দেখানো মতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আলামত তল্লাশী, বাদীনি, বাদীনির মানিত সাক্ষী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করিয়াছি। তদন্তকালে জানা যায় যে, বাদীনি মারুফা আক্তার (১৮) এবং বিবাদী হুমায়ুন কবির (৪০), পিতা-মৃত ফজলুর রহসান মল্লিক, সাং-বেতাগী পৌরসভা, ৭নং ওয়ার্ড, উপজেলা অফিসের সামনে, থানা-বেতাগী, জেলা-বরগুনা, বর্তমান-লুনা কমপ্লেক্স বোর্ড বাজার, থানা-জয়দেবপুর, জেলা-গাজীপুর এবং প্রযত্নে-কুদ্দুস মল্লিক, বসুন্ধরা আর/এ, রাকিব ভিলা, হাউজ নং-৩৪১, প্লট নং-৩৩৭/৩৬৮, রোড নং-২৩, ব্লক নং-জি, খানা-উত্তরা, জেলা-ঢাকাদ্বয় তাহাদের স্থায়ী ঠিকানায় পরস্পর প্রতিবেশী। একই এলাকার লোক হওয়ার কারণে মামলার পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়া উঠে। বিবাদী হুমায়ুন কবির মল্লিক বাদীনিকে বিবাহ করার আশ্বাস দিয়া ইং ১৫/০৫/২০১৪ তারিখ বাদীনির স্থায়ী ঠিকানা বাড়ীতে বাদীনিকে প্রথম ধর্ষণ করিয়াছে। পরবর্তীতে উক্ত আসামী বাদীনিকে বরগুনা হইতে ঢাকায় নিয়ে আসার পথে আসামীর বাসায় এবং বাদীনি’র বর্তমান ঠিকানার বাসায় বাদীনিকে একাধিকবার ধর্ষণ ফরিয়াছে। সর্বগের ১০/০১/২০১৫ তারিখে উক্ত আসামী বাদীনিকে বর্তমান বাসায় ধর্ষণ করিয়াছে। মামলার আর জি তে উল্লেখ আছে যে, বেতাগী বাসষ্ট্যান্ড বরগুনায় অবস্থিত এ আর খান মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকে বাদীনিকে পরীক্ষা করিয়া ডাক্তার এই মতামত প্রদান করিয়াছেন যে, ” Suffsong from profuse bleeding pre vagina an rupture of by men due to rape on 11 January, 2015, 1 examine her with her connect in present of female attendant বিধি অনুযায়ী কোন নারী ধর্ষিতা হইলে সরকারী হাসপাতাল সমুহের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ধর্ষণ সংক্রান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হইয়া থাকে। বাদীনিকে জিজ্ঞাসাবাদে বাদীনি জানাইয়াছেন যে, তিনি উক্ত ক্লিনিকে যাওয়ার পর ডাক্তার তাহাকে পরীক্ষা করিযা সনদপত্র প্রদান করিয়াছেন। বাদীনি উক্ত সনদ আমার নিফ। উপস্থাপন করিতে পারেন নাই। বাদী।ন জানাইয়াছেন যে, তিনি বিজ্ঞ আদালতে চিকিৎসা সনদপত্র উপস্থাপন করিবেন। ধর্ষণের ঘটনার পর বাদীনি তাহাকে বিবাহ করার জন্য বিবাদী হুমায়ুন কবির (৪০) কে বিবাহের প্রতিশ্রুতির কথা মনে করাইয়া দিলে উক্ত বিবাদী বার্মীনিকে বিবাহ করিতে অসম্মতি প্রকাশ করায় অত্র মামলার উদ্ভব হইয়াছে। বাদীনির উপস্থাপিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য হইতে মামলার ঘটনাটি বিবাদী হুমায়ুন কবির (৪০) এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর ৯(১) ধারার অপয়াধ প্রাথমিক ভাবে সত্য বলিয়া প্রতিয়মান হইয়াছে।
এই ধরনের লম্পট, সুবিধাভোগী আওয়ামী লীগের দালাল কিভাবে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এর দায়িত্ব পায় তাহা আমাদের বোধগম্য নয় বলে অভিযোগ রয়েছে বেতাগীর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তৃণমূল বিএনপি’র নেতাকর্মীর।
বেতাগীর সর্বস্তরের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপি কর্মীদের দাবি শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে এই কুখ্যাত হুমায়ুন মল্লিককে বিদায় দিয়ে সুস্থ ধারায় ত্যাগী নেতাদের নিয়ে বিএনপি’র কমিটি করা হোক।
আরো জানা যায়, ৫ আগস্ট ২০২৪ইং থেকে হুমায়ুন মল্লিকের নির্দেশে তার লালিত পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য রিয়াদ খান, নেসার খান, চোরা জামাল, চোরা শাহীন, সাদ্দাম, আসাদ, আরিফ খান, বেল্লাল খান, সোহাগ খাড়াকান্দা, মো: রেজাউল কবির বাবু এদের নেতৃত্বে বেতাগী পৌর শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর, বাস গাড়ি, পৌর ভবন ও উপজেলা পরিষদে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগ চালিয়ে আসছে। বেতাগী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ভাঙচুর ও চাঁদাবাজি অব্যাহত আছে। পৌর ভবন ভাঙচুর ও লুটপাটের সাথে সরাসরি হুমায়ুন কবির মল্লিক , রিয়াদ খান জড়িত থাকলেও অদৃশ্য শক্তির চাপ ও অবৈধ টাকার কারণে প্রধান এই দুইজনকেই আসামি করা হয়নি ওই হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের নেতৃত্ব দিয়েছে হুমায়ুন মল্লিক ও রিয়াদ খান যার ভিডিও ফুটেজ একাধিক নিউজে প্রকাশিত হয়েছিল।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে বেতাগী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের একটি অনুষ্ঠান শেষে হুমায়ুন কবির মল্লিকে বেতাগী উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ও এলাকার জনগণ একত্রিত হয়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন এবং ব্যাপকভাবে মারধর করে এতে জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত বিএনপির দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট হয় বলে বেতাগীর বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি।
এলাকাবাসীর দাবি, বেতাগী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভায় হাজারো বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবি এই আওয়ামী লীগের দালাল লম্পট, চরিত্রহীন, যিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে সেই হুমায়ুন মল্লিককে বিএনপি থেকে বাদ দিয়ে দলের ত্যাগী নেতাদের দিয়ে বিএনপি গঠিত হোক।