অন্যান্য সংবাদ

ছিনতাইকারীর কবলে পিরোজপুরের এক যুবক।

মোঃ নুরউল্লাহ হোসেন :

বিশেষ প্রতিনিধি :

ঢাকা রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্ৰীন ঢাকা এসি পরিবহনে চাকরিরত ছিলেন হৃদয় নামের এক যুবক। হৃদয় তার চাকুরীর পাশাপাশি মাটিভাঙ্গা ড্রিগি কলেজের শিক্ষার্থী তার গ্ৰামের বাড়ি তারাবুনিয়া, জেলা পিরোজপুর বেশ কয়েক মাস আগে ঢাকাতে আসেন জীবিকার তাগিদে কিন্তু তার ছোট একটা চাকরির উপজনের টাকা দিয়ে লেখাপড়ার খরচ যোগাতে হিমসিম খেতে হয় ।

গতকাল শুক্রবার ১ নভেম্বর রাত দশটার সময় হাতিরঝিল দিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে হৃদয় নামের ওই যুবকের হাতে মারাত্মক জখম হয়, তাছাড়া সেই সুযোগে হাতে থাকা মোবাইল ফোন ও গ্ৰীন ঢাকা পরিবহন কাউন্টারের ১৫ হাজার টাকা সহ হাতিয়ে নিয়ে ও ছাড় পেল না হৃদয় ।

 

পরে মারধর করে চলে যায় দুর্বিত্তরা । রাজধানীর বুকে সাধারণ জনগণ সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে যখন সব নগরী নিশ্চুপ তখনই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ছিনতাইকারীর দল। বর্তমানে ঢাকা শহরে আতঙ্কের এক নাম ছিনতাই। ভোর বেলার ফাঁকা রাস্তা কিংবা মাঝ রাতে বেশির ভাগ সময় ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

 

শুধু রাজপথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ মানুষের তা নয় সাম্প্রতিক সময়ে রাতের যানবাহন ও হয়ে উঠছে যেন সাক্ষাৎ যমদূত। ছিনতাইকারীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছে। হেঁটে, রিকশায়, বাসে বা নিজের গাড়িতে যেভাবেই চলাচল করি না কেন, ছিনতাইকারীদের নাগালের বাইরে যাওয়া কঠিন। গুলি করে বা ছুরি মেরে, কখনো অস্ত্রের ভয় দেখিয়েই সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মোটরসাইকেল বা গাড়িতে করে এসে রিকশাযাত্রীদের ব্যাগ ছোঁ মেরে নিয়ে যাচ্ছে। হ্যাঁচকা টানে পড়ে গিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বহুবার।

 

ভাড়া করা অটোরিকশার ছাউনি কেটে নেওয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন বা ব্যাগ। যানজটপ্রবণ ও জনবহুল এই শহরে মানুষ ঠিকমতো চলতে না পারলেও ছিনতাইকারীরা ঠিকই সবকিছু লুট করে পালিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা ধরা পড়ছে খুব কমই। দুর্বৃত্তরা সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত নিরিবিলি সড়ক হাতিরঝিল, ফ্লাইওভার, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালের আশপাশের এলাকায় অবস্থান করে এবং ছিনতাই করে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ছিনতাইপ্রবণ এলাকা প্রায় ৪০০।

 

তার মধ্যে হাতিরঝিল শ্যামলী, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, বিমানবন্দর রোড, মহাখালী, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ, সদরঘাট, সূত্রাপুর, ধোলাইপাড়, হাইকোর্ট মোড়, কাঁটাবন, মৌচাক এলাকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছিকামনা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button